০২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ০৯:৪২:৫৭ অপরাহ্ন
রাজশাহীর বিনোদনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৪-২০২৫
রাজশাহীর বিনোদনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

ঈদুল ফিতরের দিন রাজশাহীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকালের দিকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে নগরের দর্শনীয়স্থানগুলো।


রাজশাহী নগরীর শহীদ জিয়াউর রহমান শিশুপার্ক, বড়কুঠি পদ্মার পাড়, সীমান্ত নোঙর, ভদ্রা শিশুপার্ক, রাজশাহী চিড়িয়াখানা ও কেন্দ্রীয় উদ্যানসহ বিনোদনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ছোট বড় সব বয়সী মানুষের ভিড় ছিল পদ্মাপাড়ে। 

পদ্মাপাড়ে লিমান ও তানভীর এসেছে বাবা মায়ের সঙ্গে। লিমান বলে, ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় মিষ্টান্ন খেয়েই তারা পদ্মাপাড়ে ঘুরতে এসেছি। 

তাদের বাবা আব্দুর রহমান জানান, নিজেদের ব্যস্ততায় বাচ্চাদের তেমন সময় দেওয়া হওয়ে ওঠে না। তাই তাদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। 

নগরী টিকাপাড়া থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন লাবনী ইসলাম। তিনি বলেন, এবারের ঈদটা একটু অন্যরকম। চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকি। কিন্তু এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারছি। দুপুরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হয়েছি। বাচ্চারা অনেক মজা করছে। ঈদের আনন্দটা উপভোগ করছি সবাই মিলে।


তবে ঈদকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নগরীতে চলাচল করা ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন ঈদ সেলামির নামে। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন যাত্রীরা। 

রিকশা চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ বিশেষ দিন। এই দিন ১০-২০ টাকা বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে তাই যাত্রীরা রেগে যাচ্ছে। আচ্ছা বলেন তো, বছরে তো একটাই দিন। আমরা একটু সেলামি চাচ্ছি। অন্যদিন তো আর চাইবো না। 

এনামুল হক নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, এবার ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। রাজশাহী জেলাতে গ্রামের বাড়ি। ঈদের পরের দিন যাব। ঈদের দিন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সময় কাটাতে এসেছি। তবে রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা বেশি ভাড়া চাচ্ছে।

শেয়ার করুন