০৭ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ০৬:৫৩:১১ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে বাংলাদেশি কর্মীদের অপেক্ষা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে বাংলাদেশি কর্মীদের অপেক্ষা

বাংলাদেশের জন্য আবারও বন্ধ হয়ে গেল বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চতুর্থ বৃহত্তম মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় শেষ হবে শুক্রবার মধ্যরাতে।

১ জুন থেকে আর কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে যেতে পারবে না। তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শ্রমবাজার আবারও খুলে দিতে পারে দেশটি।

এখন পর্যন্ত যারা দেশটিতে পৌঁছেছেন তাদের অনেকেই এয়ারপোর্টে আটকা পড়েছেন। এই মুহূর্তে এয়ারপোর্টের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় এয়ারপোর্টের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখছে কর্তৃপক্ষ।

মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবারের পর বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে কোনো কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

গত জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি পুনরায় করার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখিস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কর্মী যায় মালয়েশিয়ায়।

মালয়েশিয়ার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেন, সরকার একটি কসমেটিক সমাধান দিয়েছে যা মূল সমস্যার সমাধান করবে না। দুর্নীতি, ভেঙে যাওয়া নিয়োগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরস্পরবিরোধী স্বার্থ পর্যন্ত এসব সমস্যার মূলে রয়েছে।

২৮ মে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া এসেছেন মো. সাব্বির আহমেদ (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ৩০ হাজার টাকার একমুখী টিকিট ১ লাখ ৮ হাজার টাকা দিয়ে কেটে এখানে এসেছি। অনেক বাংলাদেশি উল্টোপথে মানে দুবাই, কাতার, চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া হয়ে কুয়ালালামপুরে ঢুকেছে। ফলে এখানকার এয়ারপোর্টেও অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমি প্রায় সাত ঘণ্টা এয়ারপোর্ট অপেক্ষা করার পর নিয়োগকর্তাকে খুঁজে পাই।

শেয়ার করুন