চট্টগ্রাম টেস্টে ড্র করলেও ঢাকা টেস্টে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছেন টাইগাররা। এ নিয়ে ঘরের মাঠে টানা তিনটি টেস্ট সিরিজ হারল মুমিনুল হকের বাংলাদেশ দল।
ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে শ্রীলংকা সিরিজ হারলেন টাইগাররা।
আর এই হারের তেতো স্বাদ ও ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কা নিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ। এই শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে যে বিষয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন তিনি। বিদেশি কোচের অনুপস্থিতিতে স্পিনারদের নিয়ে কাজ করেন সোহেল ইসলাম। তিনিও ক্যারিবীয় সফরে যাচ্ছেন না।
তবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে মিরাজ-তাইজুল-সাকিবদের সামলাবেন কে?
জানা গেল, জাতীয় দলের সাবেক পেসার খালেদ মাহমুদ সুজন সামলাবেন তাদের। সঙ্গে সহায়তা করবেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো!
সুজন নিজেই জানালেন সে কথা। বললেন, হেরাথের পরিবর্তে এবার কাউকেই উইন্ডিজ সফরে নিচ্ছে না বিসিবি।
শনিবার বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘এবার সোহেল যাচ্ছে না। হেরাথের পরিবর্তে কেউ যাচ্ছে না। আমাকে আর ডমিঙ্গোকেই স্পিনারদের দেখতে হবে।’
এদিকে অফ-স্পিন সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ।
মেহেদী হাসান মিরাজের ইনজুরিতে সুযোগ পেয়েছিলেন নাঈম হাসান। প্রথম টেস্টে তিনিও ইনজুরিতে পড়েন। তার বিকল্প পাওয়া যায়নি। মোসাদ্দেক হোসেনকে নেওয়া হয়। তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটিং-বোলিংয়ে।
সব মিলিয়ে ক্যারিবীয়দের উইকেটে ও কন্ডিশনে কোনো স্পিন কোচই পাচ্ছেন না বাংলাদেশের স্পিনাররা।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সফরে তিন সংস্করণেই খেলবেন টাইগাররা। দুটি করে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ মাঠে গড়াবে। এ জন্য ৫ জুনের মধ্যে তিন ভাগে বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে।
১৬ জুন শুরু হবে প্রথম টেস্ট। সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৪ জুন। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২ ও ৩ জুলাই প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হবে ডোমিনিকায়। ৭ জুলাই গানায়ায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। এর পর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে গায়ানাতেই। ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই।