২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:২৯:২৪ অপরাহ্ন
ডেঙ্গু: গতবারের তুলনায় চলতি বছর মৃত্যু তিনগুণ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
ডেঙ্গু: গতবারের তুলনায় চলতি বছর মৃত্যু তিনগুণ

২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে যে কয়জনের মৃত্যু হয়েছিল, চলতি বছরের একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিনগুণ মানুষের।


২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুও গতবছরের তুলনায় এ বছর বেশি। সবার সমন্বিত পদক্ষেপের পাশাপাশি ডেঙ্গুকে অবহেলা না করে যথাসময়ে চিকিৎসা নিতে হবে। নাহলে চলতি বছরও ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে।


গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দুই হাজার ২২ জন। যার মধ্যে ঢাকার মধ্যে ছিল এক হাজার ৩৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ছিল ৬৪৪ জন। গত বছরের একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের।


শুক্রবার (৩১ মে) পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭২৫ জন পুরুষ এবং এক হাজার ১২৮ জন নারী।


গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬ জন। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং জন ১৯ জন নারী।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।


চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু প্রসঙ্গে কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, এ বছর প্রথম থেকেই আমরা দেখছি অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আবার এডিস মশার ঘনত্বও আমরা বেশি পাচ্ছি। সে জন্য আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে চলতি বছর ডেঙ্গু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


তিনি আরও বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হারও বেশি। মৃত্যুর হার বাড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা নিতে দেরি করা। মানুষ ডেঙ্গুকে অবহেলা করে। জ্বর হলে সাধারণ জ্বর মনে করে চিকিৎসা নেন না। ডেঙ্গুতে খুব বেশি চিকিৎসাও প্রয়োজন হয় না। প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেলেও হয়। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বর বলেই মনে করা হয়। ছয়-সাত দিনের মাথায় যখন ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যায়, তখন সবাই ভাবে সুস্থ হয়ে গেছি। কিন্তু এ সময়টাই সব থেকে বিপদের সময়। এই সময়ে সচেতন থেকে তরল খাবার না খেলে জটিলতা বাড়তে থাকে। এসব বিষয়েই মানুষকে আরও বেশি সচেতন করা দরকার।


শেয়ার করুন