০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৮:৩২:১৭ পূর্বাহ্ন
আবর্জনার স্তূপে হবে পার্ক, পথশিশুরা খেলবে ক্রিকেট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
আবর্জনার স্তূপে হবে পার্ক, পথশিশুরা খেলবে ক্রিকেট

রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে গত বিশ বছরে ফ্লাইওভার, ইউলুপ, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলসহ নানারকম উড়ালপথ নির্মিত হয়েছে। তবে উড়ালসড়ক নির্মাণের সময় এর নিচের জমিগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। যার ফলে ঢাকায় বিভিন্ন উড়ালপথের অন্তত ১৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নিচে প্রায় ২০৭ একর জমি পড়ে আছে দখল-বেদখল, ব্যবহার-অব্যবহার ও অপব্যবহারে। অথচ এই মূল্যবান নগর-জমিগুলোকে সৃজনশীল ও জনবান্ধব পরিকল্পনার মাধ্যমে গণপরিসরে রূপান্তর করা সম্ভব।



ফ্লাইওভারের নিচের জায়গাগুলোর বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ আর্কিটেকচার অ্যান্ড আরবানিজম (সিআইএইউ) এক রূপকল্প তৈরি করেছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এতে অর্থায়নে ও সহযোগিতা করেছে। গত ১৯ মে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে এ নিয়ে এক প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন সিআইএইউ-এর নির্বাহী পরিচালক স্থপতি অধ্যাপক ড. আদনান জিল্লুর মোর্শেদ। এছাড়া নগর প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, নগরবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, পরিবেশকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন ও প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।




স্বাগত বক্তব্যে ড. আদনান জিল্লুর মোর্শেদ বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বর্তমানে ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড স্ট্রাকচারের নিচের অংশে জনবান্ধব, টেকসই ও সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার উপযোগী কমিউনিটি জোন তৈরি করা হচ্ছে। উড়ালসড়কের মতো অবকাঠামোর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা। এ বিষয়ে নগর প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং পরিকল্পনাগত ঘাটতি পূরণে অবদান রাখাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন ফ্লাইওভারের নিচে চোখে পড়বে রিকশা, ভ্যানগাড়ির পার্কিং, অস্থায়ী কাঁচাবাজার, ময়লা ফেলার ভাগাড়, ছোট ছোট দোকান, কিংবা ছিন্নমূল মানুষের আবাসস্থল। অনেক জায়গায় রাত হলেই দেখা যায় মাদকসেবীদের আনাগোনা। প্রাতিষ্ঠানিক তদারকি কম থাকায় বিভিন্নধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও হয়। অল্পকিছু জায়গায় পথশিশুরা খেলাধুলা করে। এছাড়া অঢেল জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। মূল বিষয় হলো, সামগ্রিকভাবে এ নিয়ে কোনো নীতিমালা নেই। ফলে বেশিরভাগ জমির সুষম ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি।


শেয়ার করুন