২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৩:৪২ অপরাহ্ন
কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না

নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে খুন করে কাতার চলে যান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। কাতার গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। কাতার থেকে ফিরিয়ে এনে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ও এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি রাসেল মাহমুদকে (৪৫) গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 


শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মোহমশাফিজুর রহমান। এর আগে শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর কাতার এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাকে বাংলাদেশ ফেরত এনে গ্রেফতার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের অপর অভিযুক্ত মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


গ্রেফতার রাসেল মাহমুদ মাধবদী পৌলানপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্য গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাধবদী পৌলানপুর এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৬৫) তার ছেলে মো. হিমেল মিয়া (৪৩), জুয়েল মিয়া (৩৯), মো. নবেল মিয়া (২৮), টাংগাইলের গোপালপুর উপজেলার খানপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রাব্বী (১৯), কুরিগ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. মিঠু (৩৫) ও মাধবদী কবিরাজপুর এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে মো. লিপু মিয়া।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড রাসেল মাহমুদ হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ২৯ মে কাতার এয়ারলাইন্সযোগে কাতার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দেন। খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম শাহজালাল আস্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। জেলা পুলিশের যৌথ টিম বিমানবন্দরে যখন পৌঁছান, তখন মাস্টারমাইন্ড রাসেলকে বহনকারী কাতার এয়ারলাইন্সের বিমানটি রানওয়েতে অবস্থান করছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে জেলা পুলিশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাতার ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনে পৌঁছলে সেখানকার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে ফিরতি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। মাস্টারমাইন্ড রাসেল মাহমুদ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে ঢাকা ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 


পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 


গত ২৮ মে মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুবুল হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যার দুদিন পর নিহতের ভাই ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এলাকার আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর সঙ্গে নিহত সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসানের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।


শেয়ার করুন