০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:২৪:২০ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণের পথে যোগাযোগে বিপ্লব
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৬-২০২৪
দক্ষিণের পথে যোগাযোগে বিপ্লব

দেশের একদা প্রত্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের পথে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে বিপ্লব এনেছে পদ্মা সেতু। সেই আলোচিত, বহুল প্রতীক্ষিত সেতুর আজ দুই বছর পূর্ণ হলো। ২০২২ সালের ২৫ জুন চালু হয় পদ্মা সেতু। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু পদ্মা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণকে মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে এক সুতায় বেঁধেছে।


দেশের ইতিহাসে যোগাযোগ খাতে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এই সেতু।


 


২০২২ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর এক দিন পর থেকেই শুরু হয় সেতুতে যান চলাচল। যেন দেখতে দেখতেই সেতু চালু হওয়ার দুই বছর পেরিয়ে গেল।


 


পদ্মা সেতু দিয়ে এ পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে প্রায় সোয়া এক কোটি গাড়ি। সেতুর নিচের তলা দিয়ে চলছে ট্রেন। তবে ট্রেন চলাচল এখনো আংশিক। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো পথে ট্রেন চলবে।


 


পদ্মা সেতুর প্রভাবে বদলে গেছে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে নদীবহুল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াত। যাত্রার সময় কমেছে চমকপ্রদভাবে। নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে। সার্বিকভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে এই সেতু।


দুই বছর আগেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে রাজধানী ঢাকায় আসতে দীর্ঘ সময় ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে হতো। যানজট, কুয়াশার মতো বিপত্তি বা ফেরির সমস্যা হলে দুর্ভোগের শেষ ছিল না। শারীরিক-মানসিক ভোগান্তি ছাড়াও সময়ের অপচয় হতো। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় একেকটি স্প্যান বসার খবরের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে লক্ষ রেখেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষসহ দেশবাসী। কারিগরিসহ নানা চ্যালেঞ্জ পেছনে ঠেলে বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে নির্মিত হয় সেতুটি। অবসান ঘটে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের। এখন খুব সহজেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারছে।


শেয়ার করুন