মিলানের সান সিরো স্টেডিয়াম উপচে পড়ছিল দর্শক। এসি মিলানের প্রত্যাবর্তন দেখার স্বপ্ন ছিল সমর্থকদের চোখে। সেই স্বপ্নের বদলে ডাচ রূপকথার সাক্ষী হয়েছেন তারা। গতকাল টিকে থাকার লড়াইয়ে চেষ্টা করেও পারেনি মিলান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা থেমেছে অখ্যাত ফেইনুর্ডের সামনে।
অথচ প্রথম লেগে ফেইনুর্ডের কাছে ১-০ গোলে হারকে ফ্লুক ভেবে বসেছিলেন অনেকে। সেটি বাস্তব করার জোগাড় ছিল। ফেইনুর্ড তাদের সেরা তারকা হারালো। প্লে-অফ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে কোচ ব্রায়ান প্রিস্কিকেও বাদ দেওয়া হলো। অন্তবর্তীকালীন হিসেবে আসলেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ প্যাসকাল বশচার্ট। সান সিরোতে খেলার মিনিটখানেকের মাথায় পিছিয়েও পড়ল। তবুও ফেইনুর্ড থামেনি। দলটি শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় শেষ করেছে।
সেই শেষেও ছিল নাটকীয়তা। মিলানের ঘরের মাঠের ম্যাচটি কমপক্ষে ২-০ গোলে জিততে হতো। সেই পথও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গোল পায় মিলান। তখন কে ভাবছে যে মিলানের ইতিহাসের সামনে পাহাড় হয়ে দাড়াবে ফেইনুর্ড। হয়েছে সেটিই।
ডাচ ক্লাবটি শেষ ষোলোর মিশনে গোলটি শোধ দেয় ৭৩ মিনিটে। বাকি সময়ে একের পর এক লড়াইয়েও টলাতে পারেনি সফরকারীদের। তাতেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে সান সিরো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এর আগে কখনও রাউন্ড অব সিক্সটিন খেলেনি ফেইনুর্ড। মিলানকে হতাশার রাত উপহার দিয়ে ফেইনুর্ড ১-২ ব্যবধানে গড়েছে ইতিহাস।