১৮ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:১৫:১২ অপরাহ্ন
রংপুরে ‘লজ্জায়’ আ.লীগ-ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৭-২০২৪
রংপুরে ‘লজ্জায়’ আ.লীগ-ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।

গতকাল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর পর এই ঢেউ লেগেছে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও। হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে একের পর এক পদত্যাগ করছেন সংগঠনটির পদধারী নেতারা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল থেকে থেকে বুধবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্নজনের পদত্যাগের খবর পাওয়া যায়। বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ ছাড়াও বিভিন্ন শাখা থেকেও অনেকে পদত্যাগ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে দুইটি গ্রুপ থেকে লিভ নিতে দেখা যায়। আবার অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুর রহমান মুবিন, ফজলে রাব্বি, যুগ্ম সম্পাদক পিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আরিফ, উপ-তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, সহ-সম্পাদক মাথিন লোহানী ও সম্পাদক মো. আল-আমিন মিয়া, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সরকার, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাজন আহমেদ, উপ-পাঠাগার সম্পাদক শাহিন ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ঋয়ানসহ অনেক নেতাকর্মী। 

বেরোবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আরিফ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আজকের ঘটনা আমার আদর্শ বহির্ভূত, তাই আমি সব ধরনের রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।

সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বি লেখেন, আমি এক কুলাঙ্গার, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।

পিয়াস লেখেন, আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।

সহ-সম্পাদক মো. আল আমিন মিয়া লেখেন, আমি মো. আল আমিন মিয়া। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক পদে আছি। আমি আমার বিবেকের কাছে লজ্জিত হয়ে আমার ছাত্রলীগের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। এখন থেকে ক্যাম্পাসের কোনো রাজনীতির সঙ্গে আমি আর যুক্ত নই।
সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে একজন ছাত্রলীগ কর্মী লিখেন, একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এইটা কখনোই মানতে পারব না। সবার চোখে সামনে আমাদের ছোট ভাইয়ের বুকে গুলি করলো, সে মারাও গেল, অথচ আমরা চুপ।

শেয়ার করুন