কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পড়ে আহত অনেকের হাত, পা, চোখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারও হাত, পা কেটে ফেলা হয়েছে, কারও আবার চার থেকে আটটি অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এমন রোগীরা আগামীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকে সংশয়ে রয়েছে। গত দুই দিন রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) ও জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল ঘুরে রোগী, স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাইভেট কারের চালক সজীব খান চিকিৎসা নিচ্ছেন পঙ্গু হাসপাতালে। গত শুক্রবার কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে তার ডান হাতে গুলি লাগে। শেষ পর্যন্ত তার হাত রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে চিকিৎসকরা। জানতে চাইলে সজীব এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘তিনি ঘটনার দিন ডিউটি শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলেন, ওই সময় বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তুমুল সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎ পুলিশের একটি গুলি এসে হাতে লাগে। গুলিতে তিনিসহ অনেকেই আহত হন। কথা বলার এক পর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সজীব বলেন, ‘আমার হাতে একটা গুলি লেগে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। হাত কেটে ফেলতে হয় কি না, সে চিন্তায় দিন কাটছে।’
হাত ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে-১ (পুরুষ) এর জি-৪৭ নম্বর বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ৯ বছরের শিশু রিফাতকে। তার বাম পায়ে ও বাম হাতে গুলি লাগে। হাঁটুর ওপরে একটি গুলি, যা পা ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। সঙ্গে থাকা বাবা-ফুপুর কোনো সন্তানই শিশুটিকে শান্ত করতে পারছে না।