চীনকে মাথায় রেখে প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি শক্তিশালী করতে পুরোনো একটি বিমানঘাঁটিকে সক্রিয় করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটি গুয়ামের কাছাকাছি তিনিয়ান দ্বীপে জঙ্গল কেটে পুরোনো বিমানঘাঁটি আবারও সক্রিয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর এক কমান্ডার। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ উইলসবাখ তিনিয়ানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের একটি বিমানঘাঁটি সক্রিয় করার কথা জানান।
কেনেথ উইলসবাখ বলেন, ‘আমরা সেখানকার জঙ্গল পরিষ্কার করে ফেলতে যাচ্ছি। আমরা সেখানকার অবকাঠামোকে আবারও সামনে আনতে যাচ্ছি, যাতে করে আমরা সেটিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।’ এ সময় তিনি জানান, এই ঘাঁটি ব্যবহার করে এর আশপাশের এলাকায় আরও কিছু ঘাঁটি তৈরি করার কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মার্কিন এয়ারফোর্স দেশটির কংগ্রেসের কাছে অতিরিক্ত তহবিল চেয়ে আবেদন করেছে বলেও জানান জেনারেল কেনেথ উইলসবাখ। এ সময় তিনি জানান, এই ঘাঁটি বেইজিংকে প্রতিহত করতে এশিয়ামুখী যুদ্ধবিমানগুলো যাত্রাবিরতি ও জ্বালানি গ্রহণের হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে।’
জেনারেল কেনেথ আরও বলেন, ‘যেকোনো জরুরি, সংকট কিংবা সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আমরা যত বেশি বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে পারব, চীন তত বেশি স্থানে তার দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রাখবে। এবং এসব লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে চীন তার সরঞ্জাম, সেনা মোতায়েন করবে, যার ফলে আমাদের হারানোর ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস পাবে।’
উল্লেখ্য, মার্কিন বিমানবাহিনী নতুন নতুন ঘাঁটি তৈরির বিষয়ে আগ্রহী হলেও কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘চীনকে আটকে’ রাখতে চায় না। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনও বেইজিং সফর করে গেছেন।