১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২৪
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে  বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।


অবস্থান কর্মসূচি শেষে বেলা ২টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ।


সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩/২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত-শিবির রেল লাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল এবং এদেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে সরকার পতন করতে চেয়েছিল, আবার সেই একি নাটক আমরা নতুন করে মঞ্চস্থ হতে দেখছি। এবার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরো কিছু দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রী পূরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি আলোচনা করতে চান।


তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি ধ্বংসাত্মক কাজে জামায়াত-শিবিরের হাতিয়ার হয়ে উঠে তাদের দ্বারা নিজেদের কলঙ্কিত করা এটি কোন ছাত্র-ছাত্রীর কাজ নয়। আমরা অভিভাবক হিসেবে তাদের বাবা-মাকে অনুরোধ করবো, আপনাদের সন্তানদের ঘরে নিয়ে যান। স্কুল-কলেজ খুলবে, স্কুল-কলেজে পাঠাবেন। আন্দোলন করে রাজপথে আগুন জ্বালিয়ে, মানুষকে হয়রানী করে, দেশকে অস্থির করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে অহেতুক আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন না।


এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, সকল অপতৎপরতার পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবির। যদি তারা মনে করে শিক্ষার্থীদের র্দীঘদিন বিভ্রান্ত করে রাখতে পারবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শুধু সময়ের ব্যাপারমাত্র, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে থাকবে না। তারা ঘরে ফিরে যাবে। যেহেতু তাদের দাবি পূরণ হয়েছে।


শেয়ার করুন