১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪১:১১ অপরাহ্ন
ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছেই
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৮-২০২৪
ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছেই

শেখ হাসিনার পতনের পরেই ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলন এখনো চলছে। গতকাল আন্দোলনের অংশ হিসেবে পল্টন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছেন গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বঞ্চিত হওয়া সংগঠকেরা। মানববন্ধন থেকে তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ফেডারেশনে থাকা বর্তমান কমিটি ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি করতে হবে। 



যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি পূর্ণ না হচ্ছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন মানববন্ধনকারীরা। মানববন্ধনে হাজির হয়ে বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলরক্ষক ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন, 'গেল ১৫ বছরে আওয়ামীপন্থিরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বাংলাদেশের সব কটি ক্রীড়া ফেডারেশনে এমনভাবে দলীয়করণ ও রাজনৈতিকীকরণ করেছে যে, সব জায়গাতে এখন তাদের প্রেতাত্মারা বসে আছে। তারা মাঠের প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠকদের বঞ্চিত করেছে। তারা ফেডারেশনে থাকুক এমনটা আমরা চাই না। এই মুহূর্তে ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার চাই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেরও সংস্কার চাই।' 


তবে চাইলেই এই সংস্কার করা সম্ভব নয়। প্রতিটি ফেডারেশন চলে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে। যেমন বাফুফে চলে ফিফার নিয়মে, বিসিবি চলে আইসিসির দেখানো পথে। সেটি জানেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল। তিনি বলেছেন, 'আমরা সবাই জানি যে, বাফুফের ক্ষেত্রে ফিফার একটা নিয়ম রয়েছে। বাংলাদেশ যে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন করে স্বাধীন হয়েছে এটা পুরো বিশ্ব জানে, ফিফাও জানে। আমাদের বলার উদ্দেশ্য হলো, আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে যেভাবে ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন হয় সেভাবে হবে। কিন্তু এখানে যেহেতু আওয়ামী লীগপন্থিরা বসে আছেন, স্বৈরাচারী কায়দায় চেয়ার দখল করে বসে আছেন, তাদের রেখে কখনো বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হবে না। সুতরাং নিয়ম রক্ষা করে একটা পথ বের করতে হবে। এখন যারা রয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। তারপর অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির মাধ্যমে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। সেই দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।' 


মানববন্ধনে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবদুস সালামসহ আরও অনেকে। উপস্থিত সবাই দাবি করেছেন, বর্তমান কমিটিতে যারা রয়েছেন, তারা পদত্যাগ করবেন। এর পরে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে পরবর্তীকালে নির্বাচন হবে। এই বিষয়ে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। 


শেয়ার করুন