কূটনৈতিক উভয় সঙ্কটে ভারত। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার বেকায়দায় পড়েছে। এদিকে তাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকা থেকে রাজনৈতিক দাবি উঠেছে। তাকে অব্যাহতভাবে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতিকূলতা সম্পর্কেও সমান সচেতনতা রয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) অনলাইন টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন ভারতের সাংবাদিক দেবাদীপ পুরোহিত। তিনি আরও লিখেছেন, রাজপথের সহিংস বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে নয়া দিল্লির কাছে হিন্দোন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। তখন থেকেই তিনি ভারতে একটি অজ্ঞাত স্থানে কঠোর নিরাপত্তায় আছেন। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হচ্ছে কি না অথবা তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক কোনও দাবি আছে কি না এমন প্রশ্ন শুক্রবার এড়িয়ে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল ‘বলেন, আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা হাইপোথিসিসের মধ্যে রয়েছে। এমন হাপোথেটিক্যাল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অভ্যাস আমাদের নেই।’
বাংলাদেশি মিডিয়ার একাংশ যখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কৌশল হিসেবে তুলে ধরেছে এবং শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতের সমালোচনা করেছে, তখন উভয় দেশের সিনিয়র রাজনীতিকদের কথোপকথনে এটা বোঝা যায় যে, প্রত্যার্পণ এখন পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে অনুমানভিত্তিক।
শেখ হাসিনা হত্যা থেকে শুরু করে মানবতাবিরোধী কমপক্ষে ১০০ ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে টেলিগ্রাফের এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এখন তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠাতে বলার দায়িত্ব এবং তাদের সেটা বলা উচিত।’