২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন
চাকরির আবেদন ফি বাতিলের আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৯-২০২৪
চাকরির আবেদন ফি বাতিলের আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। একইসঙ্গে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেকারত্বের প্রেক্ষাপটে প্রহসনমূলক আবেদন ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এই সমন্বয়ক। আজ বুধবার সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।


এতে লেখেন, ‘আমি যেকোনো সময় আত্মহত্যা করতে পারি। ঠিক যতগুলো কারণে আমার বন্ধু মনজু গতকাল এসএম হলে আত্মহত্যা করেছে, আত্মহত্যা করার জন্য আমার কাছেও ঠিক ততোগুলো কারণ রয়েছে।’



‘উদ্যম তারুণ্য-পেরোনো প্রান্তিক বয়সে এসে, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নির্জনতায় বসে মাঝে-মাঝে আমি ভাবি, আমি এখন পরিচয়হীন,পরিচর্যাহীন-বেকার। আমি না ছাত্র, না পেশাজীবী। না কারও দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্যতা আমার এখন হয়েছে, না আমার দায়িত্ব নিতে সমাজের আর আগ্রহ রয়েছে। অর্থাভাবে ভীষণভাবে জর্জরিত। আত্মবিশ্বাস ভয়াবহ তলানিতে। মানসিকভাবেও ভীষণ বিপর্যস্ত। কাটছাঁট করে এই দুর্মূল্যের বাজারে সত্তর টাকায় সারাদিন পার করতে হয়। ‘কড়া’ হয়েছে বলে ক্যান্টিন বয় যখন গরু দিতে চায়, টাকা বাঁচাতে হাসি দিয়ে ডায়েটে থাকার অজুহাতে সবজি নিয়ে আসতে বলতে হয়। লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে মাঝে-মাঝে মাছ কিংবা মাংসের একটু ঝোলের জন্য ক্যান্টিন বয়কে বলতে গিয়েও থেমে যাই। ডিম-আলু-ডাল জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। বর্তমান বাজারদরে এগুলোও এখন সাধ্যের বাইরে। খাবার খরচ, চাকরির অ্যাপ্লিকেশন ফি, পকেট খরচ, প্রিলি-রিটেনের বইয়ের দাম নিয়ে ভাবতে ভাবতে শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। রাত গভীর হয়, কাঁটাবন মসজিদের ফজরের আজান কানে আসে, মাস বাড়তে থাকে; এদিকে পাল্লা দিয়ে মুখে রুচি আর পেটে ক্ষুধা দুইটাই বাড়তে থাকে। শুনেছি অভাবে নাকি মানুষের ক্ষুধাও বাড়ে।’



হাসনাত আবদুল্লাহ স্ট্যাটাসের একাংশে লিখেছেন, ‘আত্মহত্যা করতে জীবন আমাকে হয়তো শতশত যৌক্তিক কারণ দেখাচ্ছে; কিন্তু আমি জীবনকে শুধু একটা কারণ দেখিয়েই বেঁচে থাকব। আর সেটা হলো ‘আশা’। থেমে না গিয়ে এই সম্বলটুকু নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘ঊাবৎু সধহ ফরবং নঁঃ হড়ঃ বাবৎুসধহ ষরাবং’। মৃত্যুকে দেখিয়ে দেব আমি জীবন থেকে পালিয়ে যাইনি, যারা বেঁচেছে, আমি তাদের একজন।’

শেয়ার করুন