‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সংঘর্ষ ও চারজন নিহতের ঘটনার পর বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে। সে উত্তেজনা কমে এখন অনেকটাই শান্ত হয়েছে পাহাড়। তবে এক ধরনের আতঙ্ক রয়ে গেছে স্থানীয়দের মাঝে।
সহিংসতার পর থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি দুই জেলা শহরে পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও তুলনামূলক শান্ত সময় পার করেছে।
হত্যার প্রতিবাদে শনিবার ডাকা অবরোধে কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও মানুষজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম।
এরমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও উসকানির বরাতে ভয় আর আতঙ্ক বেশি ছড়াচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাগরিকদের গুজব ও উসকানি সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
থমথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিন উপদেষ্টা। পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। পাহাড়ে অশান্তির পেছনে বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ অবরোধ চলছে। অবরোধে প্রথম দিনে খাগড়াছড়ির সাথে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ আন্তঃউপজেলাগুলোতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। অবরোধের সমর্থনে সকালে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়ক,পানছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সড়ক সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।