নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার আভাস দিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনা আগস্টের শুরুতে ভারতে পালিয়ে যান, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তার নেতৃত্ব এবং সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার বাসভবনে ঢুকে পড়ে।
সেই সময় ড. ইউনূস গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ দিতে প্যারিসে অবস্থান করছিলেন। প্রায় ৫ হাজার মাইল দূর থেকে তিনি এসব ঘটনা দেখছিলেন। তিনি তখনও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশে সম্ভাব্য কারাগারের মুখোমুখি হয়েছেন, যেটি তিনি হাসিনার রাজনৈতিক মামলা বলে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি যখন বাংলাদেশে আইনি ঝামেলায় জর্জরিত, তখন বিশ্ব নেতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন পর্যন্ত সংহতি প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ড. ইউনূসের কাছে একটি ফোন যায়। তাকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার পর গ্র্যান্ড হায়াত গ্র্যান্ড সেন্ট্রালের একটি স্যুটে যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা এনপিআরের সাংবাদিক মিশেল মার্টিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, এটি ‘খুবই অদ্ভুত ঘটনার মোড়’ ছিল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নেওয়া সাক্ষাৎকারটি সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করেছে এনপিআর। সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গঠন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রটি কেমন হবে ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন মিশেল মার্টিন। সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হলো-