২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৫১:৫৬ অপরাহ্ন
পশ্চিমাঞ্চল রেলে বন্ধ ২৩ ট্রেন ও অর্ধশতাধিক স্টেশন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৪
পশ্চিমাঞ্চল রেলে বন্ধ ২৩ ট্রেন ও অর্ধশতাধিক স্টেশন

খুঁড়িয়ে চলা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে এখন নানা সংকটে জর্জরিত। আশা জাগানিয়া নানা উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবিকভাবে খুব বেশি সুফল বয়ে আনেনি। নানা সময়ে হোঁচট খেয়েছে। বন্ধ করতে হয়েছে ট্রেন এবং স্টেশন সেবাও। চালু হওয়ার পর নানা অজুহাতে এখন পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ২৩টি ট্রেন এবং ৫৪টি স্টেশন বন্ধ হয়েছে। যা নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ থাকলেও সেগুলো চালু করার বিষয়ে তেমন উদ্যোগ নেই।


রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, নানাবিধ সংকটে গত তিন বছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ২৩টি ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রী খাতে অতিরিক্ত লোকসান, চালক ও ইঞ্জিন সংকটসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এসব ট্রেন বন্ধ রাখা হয়। তবে যাত্রীদের দাবি, রেলসেবা নির্বিঘ্ন রাখতে প্রতিটি ট্রেন চালু খুবই জরুরি।


গত ২৮ সেপ্টেম্বর রেল পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ট্রেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যা সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ১৫ আগস্ট থেকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীখাতে আয় কমের কারণে চন্দনা-ভাঙ্গা কমিউটার ও উত্তরা এক্সপ্রেস এবং নাশকতা এড়াতে ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটের লোকাল-৫৬৩/৫৬৪ বন্ধ রাখা হয়েছে।


এ ছাড়া ট্রেনের কোচ, ইঞ্জিন ও ক্রু সংকটে লোকাল-৫১৫, লোকাল-৫১১/৫১২, লোকাল-৫৪১/৫৪২, লোকাল-৫৯১/৫৯২, লোকাল-৪১১/৪১২, লোকাল-৪৫৩/৪৫৪, লোকাল-৪৩১/৪৩৪, লোকাল-৪৮১/৪৮২, লোকাল-৪১৫/৪১৬/৪২১/৪২২, মিশ্র-৪৫১/৪৫২, মিশ্র-৪৩২/৪৩৩, মিশ্র-৪১৩/৪১৪, উত্তরবঙ্গ মেইল ও পার্বতীপুর কমিউটার বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া মেরামতে থাকায় রংপুর কমিউটার ও পঞ্চগড় কমিউটার বন্ধ রয়েছে। এসব ট্রেন বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি চাপ বেড়েছে আন্তনগর ট্রেনে।



এদিকে, লোকবল সংকটের অজুহাতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৫৪ স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।



রেলের তথ্য বলছে, রেল পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে ১৭৫টি স্টেশন। লোকবলের অভাবে ৫৪টি থাকায় ১২১টি চালু রয়েছে। চালু থাকা স্টেশনগুলোতেও দুর্ভোগের নানা অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। বন্ধ স্টেশনগুলোতে টিকিট বিক্রি হয় না। এ জন্য টিটি ও যাত্রীদের ট্রেনে উঠে টিকিট কাটা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ ছাড়া অনেক যাত্রী বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলওয়ে।


এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ের জিএম আব্দুল আওয়াল ভুঁইয়া বলেন, ‘বন্ধ স্টেশন ও ট্রেনের নির্দিষ্ট তথ্য এখন মনে নেই। তবে বন্ধ বেশ কয়েকটি স্টেশন চালু হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। আর ট্রেন কিছু বন্ধ হলেও নতুন ট্রেনও কিন্তু আমরা চালু করেছি।’

শেয়ার করুন