২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০১:৪৫ অপরাহ্ন
হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের পাঁচজন সৈন্য নিহত
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২৪
হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের পাঁচজন সৈন্য নিহত

হিজবুল্লাহর হামলায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের গোলানি ব্রিগেডের পুনরুদ্ধার ইউনিটের পাঁচজন সৈন্য নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও একজন কর্মকর্তা ও দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।


নিহত সৈন্যরা হলেন- কোম্পানি কমান্ডার মেজর ওফেক বাচার (২৪), টিম কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইলাদ সিমান টভ (২৩), স্কোয়াড লিডার স্টাফ সার্জেন্ট জেরুজালেম (২২), স্টাফ সার্জেন্ট ইয়াকভ হিল্লেল (২১), স্টাফ সার্জেন্ট ইহুদাহ দ্রর ইয়াহালোম (২১)।


আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখী যুদ্ধে নিহত হয়েছেন এই ৫ ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এ অভিযানে বেশ কয়েক জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে বন্দি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।


তিনি আরও জানিয়েছেন, আহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়াও নিহত ও আহতদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে।


ইরানের সমর্থিত হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। লেবাননভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পারে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এই অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক। তবে আইডিএফের দাবি, এই নিহতদের মধ্যে ৯৪০ জন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ও যোদ্ধা রয়েছে।


গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।


বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে। তবে কতদিন এ অভিযান চলবে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা ইঙ্গিত এখনও দেয়নি আইডিএফ। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।


শেয়ার করুন