রাজশাহী নগরীতে ১৭ দিনের মধ্যে তিনজন অটোরিকশা চালককে হত্যা করে তাদের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দামকুড়ার ল’পাড়া ও ভুগরোইল এলাকায় দুটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার যুবককে আটক করা হয়েছে, তবে কাটাখালীতে অটোরিকশা চালক আলমের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এখনো কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশের ধারণা, এসব হত্যাকা- ঘটেছে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে। সব হত্যাকাণ্ড রাতের বেলা ঘটে এবং পরে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার, পবার ভুগরোইল এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামের (৬৫) মরদেহ কলাইয়ের খেতে চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। সিরাজুলের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন ফিরোজ আলী (১৯), মো. রাতুল হাসান (১৯) ও মো. শুভ (১৯), যাদের বাড়ি রাজশাহী নগরীতে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকতার জানান, সিরাজুল ইসলামকে হত্যার পর আটককৃত যুবকরা অটোরিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করেন। সন্দেহজনক আচরণের কারণে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে গোদাগাড়ী থানায় জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত হয় পুলিশ।
গত ১৭ অক্টোবর কাটাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় অটোরিকশা চালক আলমের (৬৫) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, তাকে তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলা ও বুকে ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল।
এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর দামকুড়া থানার ল’পাড়া গ্রামে সাজামুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহও পাওয়া যায়। তাকেও হত্যার পর অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছিল।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো যাত্রীবেশে ঘটেছে। অটোরিকশা চালকদের উচিত রাতে যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং যাত্রীর আচরণে সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর।
পুলিশ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোরিকশার সংগঠনের নেতাদের সাথে সচেতনতার বিষয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছে।