২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন
সংসদ ছাড়াই সংবিধান সংস্কার, রাজনৈতিক দলগুলোতে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৪
সংসদ ছাড়াই সংবিধান সংস্কার, রাজনৈতিক দলগুলোতে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে

সংবিধান সংস্কার ইস্যুতে অন্তুর্বর্তী সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর আবারও মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জাতীয় সংসদ ছাড়াই সংবিধান সংস্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার আছে কি না প্রশ্ন তুলেছে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।


 

অনেকে মনে করেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনে পরিণত হয়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনও প্রয়োজন। কিন্তু সেই আন্দোলনের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর বেশির ভাগই নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করার পক্ষে। তাদের ভাষ্য, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়।



অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যেই সংস্কার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার জন্য কাজ শুরু করেছে।


গত রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও কমিশনের সদস্য মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জানান, এই সরকারই (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) সংবিধান সংস্কার করবে। 

তিনি বলেন, যেদিন অভ্যুত্থানের এক দফা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেদিনই সংবিধানের প্রশ্নটা বাতিল হয়ে গেছে। সেখানে বলা হয়েছিল, পুরনো রাজনীতির সেটলমেন্ট খারিজ করছি। আমরা নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত চাই। নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত মানে নতুন সংবিধান। ওইটা শুনেই বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জনগণ, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি ও আন্দোলনে প্রাণ দেওয়া মানুষের পক্ষের বক্তব্য শুনে তারা ঠিক করবেন সংবিধানের কোন কোন দিকে তারা দৃষ্টি দিবেন।

সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করছে কমিশন। আগামী  ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে সংবিধান সংস্কার বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি বা সংগঠন পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাব জানাতে পারবেন।


শেয়ার করুন