১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ১১:৪৪:১৮ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে বেড়েই চলছে পদ্মার পানি, প্লাবিত চরাঞ্চল
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৮-২০২৫
রাজশাহীতে  বেড়েই চলছে পদ্মার পানি, প্লাবিত চরাঞ্চল

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১৭ দশমিক ৪৯ মিটার।


 

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় এই উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৪৬ মিটার। রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। অর্থাৎ বর্তমানে পানি বিপদসীমার মাত্র ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

পানির বৃদ্ধি ও ভাঙনের কারণে রাজশাহী শহরের তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নগরীর ওপারে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন চরখিদিরপুর ও খানপুরের বেশির ভাগ অংশ ডুবে গেছে। শহরের তালাইমারী, কাজলা, পঞ্চবটি, পাঠানপাড়া, লালনশাহ মঞ্চ, শ্রীরামপুরসহ অন্যান্য নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক পরিবার রাজশাহীর বাঁধের পাশে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।

 

নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, বর্ষার শুরু থেকেই পদ্মার পানি ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি এবং স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ধীরে ধীরে পানির নিচে চলে যাচ্ছে বালুচর। সদর, গোদাগাড়ী, চারঘাট, বাঘার তীরবর্তী এলাকা ও কিছু চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাসিন্দারা বসতভিটা ও কৃষিজমি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।

 


 

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর জানান, গত ১২ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর রাজশাহী পয়েন্টে পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তিনি বলেন,

 

পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এতে আগামীকাল আরও কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তারপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকবে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে টি-বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছি এবং পানি স্তর ও ভাঙনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 


রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। গত ২৪ জুলাই পানি বেড়ে ১৬ দশমিক ৩৫ মিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এরপর কিছুটা কমে আবার ৭ আগস্ট পানি বেড়ে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। তারপর থেকে পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত আছে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া, বাঁধ মজবুত করা ও জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।


শেয়ার করুন