রাজশাহীর বাঘায় আবুল কালাম আজাদ নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তার বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জানাজা শেষ হলে তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি হাতকড়া পরানো অবস্থায় ছিলেন।
আবুল কালামের বাড়ি উপজেলার বাঘার আড়ানী পৌর এলাকার শাহাপুর গ্রামে। তাকে গত বুধবার সকালে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে বাঘা থানার পুলিশ। দুই দিন পরই মারা যান তার বাবা আজাহার আলী।
এর আগে আবুল কালাম আজাদের পক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন রাজশাহীর জজকোর্টের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী কমিশনার রিয়াকত সালমান জুডিশিয়াল শাখা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রের মাধ্যমে তিন ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।
আবুল কালাম প্যারোলে মুক্তি পাবার পর তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় বাঘার আড়ানী ঈদগাহে আনা হয়। এরপর জানাজা শেষে তার বাবার দাফন সম্পন্ন হলে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তার বাবার জানাজায় নিয়ে আসা হয়। জানাজা শেষে আবার তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
এর আগে, ১২ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৫ আগস্ট সংঘর্ষের ঘটনায় এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জেলহাজতে থাকা অবস্থায় স্ট্রোকে তার মা মৃত্যুবরণ করেন। চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হাতকড়া পরেই ১০ ডিসেম্বর মায়ের জানাজায় অংশ নেন তিনি।
তার আগে, ২০২২ সালে হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজায় ইমামতি করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম। তার হাতকড়া পরা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তখনও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।