২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৪২:২১ অপরাহ্ন
তালতলীতে টিসিবির ডাল পাচার, তদন্তে ধীরগতি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২৪
তালতলীতে টিসিবির ডাল পাচার, তদন্তে ধীরগতি

বরগুনার তালতলীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ডাল পাচার ঘটনায় তদন্ত দুই সপ্তাহেও সম্পন্ন হয়নি। দীর্ঘ ১৫ দিনেও তদন্ত কমিটির নাম জানা যায়নি। তদন্ত কমিটিতে কে বা কারা রয়েছে তাও গোপন রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে দুর্নীতি আড়াল করতে লাখ টাকার লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে ডিলারের বিরুদ্ধে।


জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নে ৭ ডিসেম্বর টিসিবির পণ্য বিতরণ করছিল মেসার্স আসিফ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ডিলার। ওই দিন রাতে অটোবোরাকে টিসিবির পণ্য পাচার হচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় জনতা টের পেয়ে উপজেলা শহরের হাইস্কুল সড়ক থেকে একটি অটোবোরাক ৪ বস্তা ডালসহ আটক করে।


খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ট্যাগ অফিসার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা এসে ওই ৪ বস্তা (২০০ কেজি) ডাল জব্দ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পাচারকারী, ড্রাইভার ও অটোবোরাক ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। 


এদিকে টিসিবির একাধিক কার্ডধারী জানান, টিসিবির পণ্য পাওয়ার কার্ড থাকলেও কবে বিতরণ করেন তা কার্ডধারীরা জানেন না। বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত তারা এ টিসিবির পণ্য নেয়নি। পণ্য বিতরণের প্রচার না করে বিতরণ করলে থেকে যাওয়া মালামাল এভাবে চোরাই পথে বিক্রি হয়। নাম


প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, টিসিবির ডাল পাচারের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরপরই সংশ্লিষ্ট ডিলার এসে আটককারী ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসন ম্যানেজের জন্য নেতাদের মাধ্যমে লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। যার কারণে পাচারকারী, ড্রাইভার ও অটোবোরাক ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।


টিসিবি’র পণ্য বিতরণকারী ট্যাগ অফিসার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নজির আহমেদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে পাচারকালে স্থানীয়দের হাতে আটককৃত ৪ বস্তা ডাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বিতরণ করা হয়েছে। তবে পণ্য পাচারের তদন্ত সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, জনতার হাতে আটককৃত ৪ বস্তা ডাল উদ্ধারের পর ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। পাচারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।


শেয়ার করুন