২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৪১:২২ অপরাহ্ন
নিউ মডার্ণ ক্লিনিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১০-২০২৪
নিউ মডার্ণ ক্লিনিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে গড়ে ওঠা নিউ মডার্ণ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও একশ্রেণীর পল্লী চিকিৎসক রোগী ধরা দালাল হিসেবে কাজ করছে। রোগী প্রতি কমিশনের আশায় এসব দালালরা অভিনব কৌশল ও প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী বাগিয়ে নিয়ে নিউ মডার্ণ ক্লিনিক ভর্তি করছে। চিকিৎসার নামে চলছে অপচিকিৎসা অধিকাংশেেত্র মালিক-কর্মচারীরা চিকিৎসক সেজে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


এছাড়াও এখানে নারী সঙ্গ উপভোগ ও অবৈধ গর্ভপাতের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিউ মডার্ণ ক্লিনিক যেনো প্রতারণা এবং রাজশাহীর তানোরে অবস্থিত নিউ মর্ডাণ ক্লিনিকের অনিয়ম দুর্নীতির গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সেই ক্লিনিকের নার্স শিলা খাতুন। এর আগেও এই ক্লিনিকে সরকারি ওষুধ বিক্রির সত্যতা পাওয়া গিয়েছিল। যা ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ধামাচাপা পড়ে যায় সব অভিযোগ।


 নিউ মর্ডাণ ক্লিনিকে চাকরি করা নার্সের মুখে দুর্নীতির কথা নিজ মুখে ফাঁস করলেন নার্স শিলা খাতুন  জানি এসব অপকর্মে নিউ মর্ডাণ হাসপাতাল  তবুও সাধারণ মানুষের সাথে ক্লিনিকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ চলমান থাকবে। ক্লিনিকের মহিলা নার্স শিলা খাতুনের বেতন আটকিয়ে জিম্মি করার ভিডিও সামাজিক ফেসবুকে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।  ভাইরাল অসামাজিক কার্যকলাপের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র, মৃত্যু ফাঁদ বা মিনি পতিতালয় বললেও ভুল হবে না। সম্প্রতি ক্লিনিকের এক আয়ার সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমলীলা নিয়ে ইতমধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারিবিধি মোতাবেক প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগণষ্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল পরিচালনা করতে পরিবেশ ছাড়পত্র, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস অনুমতিপত্র, পারমাণবিক শক্তি কমিশনের অনুমতিপত্র, আয়কর-ভ্যাট, ডিপ্লোমা নার্স ও প্যাথলজি ডিপ্লোমাধারী সার্বক্ষণিক এমবিবিএস চিকিৎসক অবশ্যই থাকতে হবে। এ ছাড়াও ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড লাবরেটরিজ রেগুলেশন’ অনুযায়ী ১০ শয্যাবিশিষ্ট কোন হাসপাতালের জন্য জরুরি বিভাগে তিনজন স্থায়ী চিকিৎসা কর্মকর্তা, তিনজন ডিপ্লোমাধারী জ্যেষ্ঠ সেবিকা, তিনজন কনিষ্ঠ সেবিকা, তিনজন আয়া, তিনজন ওয়ার্ডবয়, একজন ব্যবস্থাপক, দু’জন পাহাদার, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ অস্ত্রপাচারকে (অপারেশন থিয়েটার) না থাকলে সেখানে কোনো রোগীর অস্ত্রপাচার (অপারেশন) করানো যাবে না বলে শর্ত দেয়া রয়েছে।


কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে নিউ মডার্ণ ক্লিনিক মালিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে নিউ মডার্ণ ক্লিনিকের এমডি সাহাদাৎ হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিটি ক্লিনিকে কমবেশি কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা: বারনাবাস  হাঁসদা বলেন, তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি তবে, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন