তুরস্কের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় জয় তুলে নিয়েছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। মেয়র, প্রাদেশিক পরিষদ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অংশ নেন দেশটির ভোটাররা।
ইস্তানবুল, আঙ্কারাসহ দেশটির প্রধান শহরগুলোয় বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বিরোধী দলগুলো। হেরে গেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগানের একে পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা। খবর বিবিসির।
রোববার তুরস্কে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১০ লাখেরও বেশি তরুণ ভোটার প্রথমবারের মতো তাদের ভোট দেন।
দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্তানবুলে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সিএইচপিপ্রধান একরেম ইমামোগলু। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি, যা এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীর তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় ৫৯ শতাংশের বেশি ভোট নিয়ে জয় পেয়েছেন মনসুর ইয়াভাস। এ ছাড়া ইজমির, বুরসা, আদানা, আনাতালিয়াসহ বড় বড় শহরগুলোয়ও আধিপত্য সিএইচপির। বেশ কয়েকটি স্থানে জয় পেয়েছে ডিইএম।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরও হয়নি। এমন সময় স্থানীয় নির্বাচনকে তার দলের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরাজয় থেকে শিক্ষা নেবে দল, ফলের পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, রোববার দিনব্যাপী নির্বাচনে দেশটির ৮১ প্রদেশে ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনের ফলের প্রেক্ষাপটে তুরস্কের রাজনীতি নতুন মোড় নিল। ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামুগ্লু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।