কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসার চতুর্থ দিনেই বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রাখার মতো পর্যাপ্ত কয়লার মজুত আমাদের হাতে নাই। তার পরও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনুরোধে লোডশেডিং সামাল দেওয়ার জন্য যে কয়লা ছিল, সেগুলা দিয়ে আমরা উৎপাদন করেছি। এখন কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া গতকাল রাত ১০টা থেকে শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোড কমিয়ে এনে ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসার চতুর্থ দিনেই বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রাখার মতো পর্যাপ্ত কয়লার মজুত আমাদের হাতে নাই। তার পরও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনুরোধে লোডশেডিং সামাল দেওয়ার জন্য যে কয়লা ছিল, সেগুলা দিয়ে আমরা উৎপাদন করেছি। এখন কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া গতকাল রাত ১০টা থেকে শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোড কমিয়ে এনে ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কয়লা সংকট: উৎপাদন শুরুর চতুর্থ দিনেই বন্ধ হচ্ছে এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রকয়লা সংকট: উৎপাদন শুরুর চতুর্থ দিনেই বন্ধ হচ্ছে এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্র
এর আগে গত ৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কয়লার সংকটে বন্ধ হয়ে যায়। এর আগেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ারকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে অনুরোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুন দিবাগত মধ্যরাতে উৎপাদনে আসে এসএস পাওয়ার। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩০০-৩৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
এসএস পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট পিডিবির অনুরোধে চালু করা হয়েছিল।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এসএস পাওয়ারের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘পিডিবির অনুরোধে আমরা গত ৫ জুন মধ্যরাত থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে আসছিলাম। কিন্তু কয়লার জোগান শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ রাত ১০-১১টার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ৩৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছি।’
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আজকের পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘চলমান লোডশেডিং মোকাবিলায় এসএস পাওয়ার থেকে ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।’
পায়রার পর এবার আদানি থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ, লোডশেডিং তীব্রপায়রার পর এবার আদানি থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ, লোডশেডিং তীব্র
তবে এসএস পাওয়ারের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু না হলে কোনো লাভ নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা কয়লা পোড়ালে একই সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক যে খরচ হচ্ছে, সেটা আমরা পাব না। আমরা বাণিজ্যিক উৎপাদনে না আসা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে চাইছি না। কিন্তু পিডিবির অনুরোধে তীব্র লোডশেডিং সামাল দিতে চালিয়েছিলাম। তা ছাড়া আমাদের এখন কয়লার মজুতও শেষ হয়ে গেছে।’