২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসকে সামনে রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুতির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা দিয়ে প্রস্তুত হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে ভোটের প্রস্তুতি নিলেও সরকারের একটি পক্ষ ২০২৬ সালের ৩০ এপ্রিল নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর। তারা ২০২৬ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সমমনা দলগুলোর সঙ্গে দলটি সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এ ধরনের বাস্তবতায় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও ডিসেম্বরকে টার্গেট করে অগ্রসর হচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ ইত্তেফাককে বলেন, ‘২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে ধরেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। রোডম্যাপ ঘোষণার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনে কোনো সমস্যা হবে না।’
গত বুধবার দেশের ১০ অঞ্চল ও ৬৪ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনলাইনে অনুষ্ঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সিইসি বলেন, ‘আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন করার সম্ভাব্য ডেডলাইন। তাই চলমান কর্মযজ্ঞ সমুন্নত রাখতে যার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা আছে, সেগুলো আপনারা সঠিকভাবে এবং যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট থাকবেন। এই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে মাঠ পর্যায়ে কেউ বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। যদি কেউ এ ধরনের সংকটে উপনীত হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের জানাবেন, আমরা আইন ও বিধির আলোকে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।’