রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অবরোধ করে সমাবেশ করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে এ সমাবেশ শুরু হয়।
ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের (ডিএমজে) ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন মেডিকেলের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।
এসময় চিকিৎসকরা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। নেতৃস্থানীয় প্রত্যেক জায়গায় আমরা গিয়েছি। সমাধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আপনারা কি ডাক্তারদের অবদান অস্বীকার করতে পারবেন? চিকিৎসকরা রাস্তায় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হাসপাতালে রাত-দিন সেবা দিয়েছেন।
সমাবেশে এবি পার্টির পক্ষ থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলনে সমর্থন জানান দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওয়াহাব মিনার।
সমাবেশে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনৈক্য থাকলে দাবি আদায় করা যাবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।
তিনি বলেন, আগের আমলে আমরা ছিলাম রাজাকার, এখন হয়ে গেছি আওয়ামী লীগ। এগুলো তো আমরা বুঝি। চেয়ার পার্মানেন্ট না, পার্মানেন্ট হচ্ছে নৈতিকতা।
এ সময় ডিএমজে সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী বলেন, দাবি পূরণে যত বিলম্ব হবে, আমরা ততো ঐক্যবদ্ধ হবো, শক্তি সঞ্চয় করবো। আমাদেরকে চাপ দিয়ে লাভ নেই। তা না করে কীভাবে তাড়াতাড়ি প্রজ্ঞাপন দেবেন, সেটা নিয়ে ভাবেন। আমরা কারো দালাল নই।
একই দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বরও তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।
এর আগে ভাতা বাড়াতে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি না মানলে দেশের প্রায় ১৩ হাজার পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় ২২ ডিসেম্বর ট্রেইনি চিকিৎসকেরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদেরই একটি অংশ শাহবাগ অবরোধ করে।
পরে সরকার ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার করার ঘোষণা দেয়। ট্রেইনি চিকিৎসকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।