২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:০৫:১৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশকে যে কৌশলে তৈরি করছেন হাথুরু
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৮-২০২৩
বাংলাদেশকে যে কৌশলে তৈরি করছেন হাথুরু

এশিয়া কাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের প্রথম চার দিনের অনুশীলন সেশনে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার সীমিত রাখছে বিসিবি। এ নিয়ে বেশ আলোচনাও হচ্ছে। অবশ্য বিসিবির এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম। ফুটবলে এ রীতি চালু আগে থেকেই। ক্রিকেটেও এখন অনেক দেশ চালু করেছে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে আসার পর বিসিবিও করছে।


বিসিবি জানিয়েছে, কবে কোন অনুশীলন সেশন করবে বাংলাদেশ দল। ১৩ ও ১৪ আগস্ট বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার সেশন রাখা হয়েছে। তার মানে গতকাল ও আজ বাংলাদেশ দলের ম্যাচের আবহে ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুশীলন করার কথা।


গতকাল বৃষ্টির কারণে অনুশীলন ঠিকঠাক হয়নি। অনুশীলন পুরোপুরি না হওয়ায় বিসিবির বোর্ড রুমে মনোবিদ ড. ফিল জন্সির সুযোগ হয়েছে বেশ সময় নিয়ে তাঁর সেশন পরিচালনা করতে।


ধীরে ধীরে অনুশীলনের ব্যাপ্তি কমে আসবে তাসকিন-মিরাজদের। অনুশীলন সূচিতে ১-২ দিনের বিরতিও রাখা হয়েছে। যেন বড় টুর্নামেন্টের আগে ক্লান্তি কিংবা শরীরে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এশিয়া কাপে কোন কৌশলে বাংলাদেশ দলকে তৈরি করতে চান হাথুরু, সেটির একটি ধারণা মিলেছিল গত ২৪ জুন তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়।


বাংলাদেশ কোচ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘আমরা যখন অনুশীলন করি, সাধারণত অনুশীলন সেশনের তীব্রতা কেমন থাকে? শুরুতে বোলারদের বোলিং, ফিল্ডিং, ফিটনেসের ভলিউম একটু বেশি থাকে। যখন ম্যাচের কাছাকাছি আমরা এসে যাই, তখন এই ভলিউম কমিয়ে দিই, ইনটেনসিটি বেশি থাকে। ম্যাচের আগে অনেক বেশি অনুশীলন করি না, বড় সেশনে অনুশীলন করি না। যারা একাদশে থাকে, তারা ম্যাচের আগে কঠোর অনুশীলন করে না।


দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই জানে তাদের কী করতে হবে, কীভাবে অনুশীলন করতে হবে। নতুন যারা আসে, তাদের কিছুটা শেখাতে হয়।’


মোবাইল ফোনে থাকা অনুশীলন সেশনের উপাত্ত দেখিয়ে হাথুরু আরও খোলাসা করলেন বিষয়টি, ‘শুরুতে হাই ভলিউম। পরে লো ভলিউম। হাই ভলিউমে তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। ম্যাচের আবহে অনুশীলন করা হয় এখানে। শেষের দিকে ম্যাচ খেলোয়াড়দের ভলিউম কমে যাবে। তবে ইনটেনসিটি বেশি থাকবে। যদি আপনি ভলিউম ও ইনটেনসিটি এভাবে কাজে লাগাতে পারেন, খেলোয়াড়েরা ভালোভাবে তৈরি হতে পারবে।’


হাথুরু যেটি বলেছেন, সেটি বিসিবির দেওয়া সূচিতেও পরিষ্কার। শুরুর দুটি সেশন ছয় ঘণ্টার। পরের দুটি চার ঘণ্টা। শেষের পাঁচ সেশন তিন ঘণ্টার। এশিয়া কাপ যত কাছাকাছি আসবে, বাংলাদেশের অনুশীলনের ব্যাপ্তিও কমে আসবে। প্রথম চার দিনের অনুশীলনের ‘ভলিউম’ যে বড়, সেটিও সূচিতে পরিষ্কার। এ সময় তিনটি স্কিল অর্থাৎ ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে থাকবে ফিটনেস ট্রেনিং।


এই সেশনগুলোয় হাথুরু কাজ করবেন একেবারে সূক্ষ্ম কৌশলগত বিষয় নিয়ে। ভালো প্রস্তুতি সারতেই এ সময়ে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকারে ‘নিষেধাজ্ঞা’। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট চায় না, তাদের প্রস্তুতি কিংবা কৌশল সংবাদমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাউর হোক। 


শেয়ার করুন