শেষ অনেক দিন ধরেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে রান নেই। সবশেষ ফিফটিটা তিনি করেছেন বছর হতে চলল। এবার এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়েই দিলেন তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
গেল বছর ৬ মার্চ শ্রীলংকার বিপক্ষে সবশেষ ফিফটিটা করেছিলেন শান্ত। এরপর ১৯ ইনিংস ব্যাট করলেও শান্ত ফিফটির দেখা পাননি আর। চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসও আছে হাতে গোণা। সব মিলিয়ে এমন বাজে ফর্মই তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
তবে এমন ফর্ম অন্য দুই ফরম্যাটেও আছে তার। সে কারণে মাসকয়েক আগে অধিনায়কত্বই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ অবশ্য সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন শান্ত। তার বেশি দিন না পেরোতেই এবার টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘শান্ত ফাইনালি বলে দিয়েছে সে আর টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না। আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি–টোয়েন্টি খেলা নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে।’
অন্য দুই ফরম্যাটে অবশ্য বহাল তবিয়তে থাকবেন শান্ত। সে ফরম্যাট দুটো থেকে সরে দাঁড়াননি তিনি। এদিকে টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়ে আছে গুঞ্জন। যদিও সবশেষ সিরিজেই লুকিয়ে আছে উত্তরটা।
লিটন দাসের অধীনে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে। এরপরই লিটন জানিয়েছেন, বড় সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত তিনি।
অধিনায়কত্বের জন্য মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদও ভাবনায় ছিলেন। তবে তাসকিনের চোট প্রবণতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। এদিকে মিরাজ মূলত টি-টোয়েন্টি দলে থিতু নন বলে তাকে অধিনায়ক করার ভাবনা জোরালো হচ্ছে না। আর তাই কোনো অঘটন না ঘটলে আগামী জিম্বাবুয়ে সিরিজের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের টস করতে নামবেন লিটনই।