০৭ জানুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন
সারা দিনে কয় কাপ চা খাবেন?
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০১-২০২৫
সারা দিনে কয় কাপ চা খাবেন?

শীতের সকালে এককাপ উষ্ণ চা খেতে কার না ভালো লাগে? চা পছন্দ করেন যারা, তারা গরমের সময় তো চা পান করেনই, শীতের সময় এই চা খাওয়ার ঝোঁক যেন আরও বেড়ে যায়। তবে দিনে কয়কাপ চা পান করা যাবে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে চা প্রেমিদের।


দুধ চা ভালোবাসলে মনে রাখতে হবে, দিনে দুই কাপের বেশি খাওয়া যাবে না। এর চেয়ে বেশি দুধ চা খেলে শরীরে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে রং চা বা গ্রিন টি—এই দুই ধরনের চা তিন বা চার কাপ খেলে ক্ষতি নেই।


অতিরিক্ত চা খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে


শরীরে আয়রনের শোষণমাত্রা কমে যায়, মানসিক চাপ ও অস্থিরতা বাড়ে, অনিদ্রার কারণ হতে পারে, বমি বমি ভাব বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে, হৃৎস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, ট্রাই গ্লিসারাইড বেড়ে যায়।


কোন চা কত কাপ খাওয়া ভালো


গ্রিন টি


চা–পাতাকে যত বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয়, তার ক্যাটেকিন তত অকার্যকর হয়। গ্রিন টি তুলনামূলক কম প্রক্রিয়াজাত চা এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। এটি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের জন্য রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। মেটাবলিজম বাড়ায়। শরীরে টক্সিসিটি দূর করতে সহায়তা করে। তাই গ্রিন টি দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়া যেতে পারে।


রং চা


রং চায়ে যদি চিনির পরিবর্তে এক টুকরা লেবু বা আদা যোগ করেন, তাহলে ২ থেকে ৩ কাপ খাওয়া যেতে পারে। এই চা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। মাংসপেশির সংকোচন–প্রসারণ ও রক্ত জমাট বাঁধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি লেবু দিয়ে বানানো রং চা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।


দুধ চা


এতে আছে প্রাকৃতিক উপাদান ফ্লোরাইড, যা শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়ের গঠনের পাশাপাশি দন্তক্ষয় রোগে প্রতিরোধ করে। তবে দুধ চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন নষ্ট হওয়ার কারণে শরীরে গ্যাসের উদ্রেক করে। তাই দিনে দুই কাপের বেশি দুধ চা খাওয়া যাবে না। কারণ, দুধ চা খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। রক্তচাপ বাড়ে ও ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া আরও নানা জটিল শারীরিক সমস্যার দুধ চা খাওয়ার কারণে হয়।



কোন সময়ে চা খাবেন


ভারী খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর চা খেতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে শেষ চা খান। এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে না। পরিমিত চা খেলে অধিকাংশ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না। চা নিরাপদ পানীয়। এটি তখনই সমস্যার কারণ হতে পারে, যখন তা অতিরিক্ত খাওয়া হবে।


শেয়ার করুন