যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ভয়াবহ দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৬ জন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচদিনের ভয়াবহ তাণ্ডবের পরও জ্বলছে আগুন। দাবানল নতুন করে মোড় নিয়েছে ব্রিটেন উডস এবং সান ফার্নান্দো ভ্যালির দিকে। পালিসেডস, ইটন, কেনেথ, লিডিয়া, হার্স্ট এবং আর্চারের অনেক এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে প্যালিসেইডসে দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনার স্থানীয় সময় রোববার (১২ জানুয়ারি) দাবানলের আগুনে ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এছাড়া ১৬ জনের নিখোঁজের কথাও জানিয়েছে।
বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলসে চারটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে প্যালিসেইডস দাবানল আরও এক হাজার একর এলাকায় ছড়িয়েছে। আগেই এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্যালিসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
নতুন করে এই আগুন বৃদ্ধি পাওয়ার আগে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা প্যালিসেইডস দাবানল ও লস অ্যাঞ্জেলসের পূর্বাঞ্চলে এটন দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতির কথা জানিয়েছিলেন। এ দুই দাবানলে একত্রে ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভৌগোলিক হিসেবে এই আয়তন নিউইয়র্কের ম্যানহাটান এলাকার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি।
গত ছয় দিনের দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৪০ হাজার একরেরও বেশি এলাকা। আগুনের গ্রাসে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা। উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে এক লাখেরও বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলস ও ভেঞ্চুরা কাউন্টিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬০ মাইল পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়াও আগুনের কারণে লস অ্যাঞ্জেলসের বাতাসে দূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে।