১৯ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ১১:৪২:৫৪ অপরাহ্ন
কাফফারার রোজা কি ধারাবাহিকভাবে রাখতে হয়?
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০১-২০২৫
কাফফারার রোজা কি ধারাবাহিকভাবে রাখতে হয়?

প্রশ্ন: কসমের কাফফারার রোজা কি লাগাতার ধারাবাহিকভাবে রাখতে হয়, নাকি মাঝে বিরতি দিয়ে ভেঙে ভেঙেও রাখা যায়। 


খ) একাধিক কসমের জন্য কি একাধিক কাফফারাই লাগবে, নাকি একটি কাফফারাই যথেষ্ট হবে?


উত্তর: ক) কসমের কাফফারা দরিদ্রদের খাবার বা কাপড় প্রদানের মাধ্যমে আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে তিনটি রোযা ধারাবাহিকভাবে রাখতে হবে। কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে তা কাফফারার রোযা হিসেবে আদায় হবে না। সেক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে তিনটি রোযা পূর্ণ করতেহবে।


খ) প্রতিটি কসমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাফফারা আদায় করতে হবে। একাধিক কসমের জন্য একটি কাফফারা যথেষ্ট নয়। 


কসমের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ


কসম পূর্ণ করতে না পারলে অবশ্যই কসমের কাফফারা বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব। না হয় তার কবিরা গুনাহ হবে। কসম ভঙ্গ করার পরই কাফফারা আদায় করতে হবে। কাফফারার দুই পদ্ধতি।


এ দুটির যেকোনোটি বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। এর কোনোটিতেই সক্ষম না হলে ধারাবাহিক তিনটি রোজা রেখেও কাফফারা আদায় করতে পারে। 


কসমের কাফফারার নিয়ম 


 দশজন মিসকিনের প্রত্যেককে পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে দু’বেলা খানা খাওয়ানো অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দেয়া। কাফফারার পুরো টাকা একত্রে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দিলে তা আদায় হবে না; বরং পুরো টাকা একজনকে দিতে চাইলে প্রত্যেকের টাকা ভিন্নভাবে দশ দিনে দিতে হবে। 


 একদিনেই কাফফারার পুরো টাকা একজনকে দিয়ে দিলে তা একদিনের বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে বাকি নয়দিনের টাকা ভিন্নভাবে আবার আদায় করতে হবে। মোটকথা, পুরো টাকা একজনকে দিলে দশ দিনে দিতে হবে। আর দশজনকে দিলে একদিনেই দেওয়া যাবে।


সূত্র: ফাতহুল কাদীর ৪/৩৬৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/৪৩২; ফাতাওয়াহিন্দিয়া ২/৬৮; আলইখতিয়ার ৩/৩৮৪; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭১৪; বেহেশতী জেওর ৩/৫৩;ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/৫৪৬


শেয়ার করুন