২৯ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার, ০৬:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন
অন্যায় দেখে চুপ থাকিনি, থাকবও না: পরীমনি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০১-২০২৫
অন্যায় দেখে চুপ থাকিনি, থাকবও না: পরীমনি

বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় একদিনের মাঝে জামিন পেয়েছেন পরিমনি। আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপরই নিজের অনুভূতি জানান ঢালিউড এই অভিনেত্রী।


এসময় পরীমনি সাংবাদিকদের জানান তিনি অন্যায় দেখলে চুপ থাকতে পারেন না, ‘কোনও গোষ্ঠী যদি আমার কাজে বাধা তৈরি করে তাহলে বলার কিছু নেই। তবে তখনও আবার বলব। কী করব বলুন, কখনোই অন্যায় দেখে চুপ থাকিনি। আগামীতেও থাকব না। আমার গায়ে লাগলে কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।’


২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। সেই মামলায় আদালতে পরীমনির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীর আইনজীবী সোহেল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পরীমনির পক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী আদালতে সময় আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন এবং আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।


তখন পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, অভিনেত্রী ও তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদি জিমি ওরফে জিম অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। মূল্য দাবি করলে পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলার হয়রানির ভয় দেখান।


পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর তার সহযোগীদের নিয়ে বোটক্লাবে ঢোকেন। ওই সময় বোটক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ক্লাব ত্যাগ করছিলেন। সেই সময়  পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসির ও আলমকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন।


একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। এ সময় নাসির ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি হত্যার হুমকি দিয়ে বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।


এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি ৫ দিন পর ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় বাদী নাসির, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও চারজনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যদিও সেই মামলার তদন্তে ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।


শেয়ার করুন