বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর মাসের বেতন ব্যাংকে পাঠানোর সুখবর দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তরের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপের বেতনের অর্থ ব্যাংকে পাঠানো হতে পারে।
গতকাল বুধবার রাতে মাউশির অর্থ ও ক্রয় বিভাগের উপপরিচালক আবু সাঈদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) বেতনের মেসেজ পাওয়া ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনের জিও (সরকারি নির্দেশনা) জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অর্থ ব্যাংকে জমা হতে পারে।
আবু সাঈদ মজুমদার বলেন, নানা সমস্যার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। বৃহস্পতিবার বেতন ব্যাংকে পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে আগামী সপ্তাহে শিক্ষকরা অবশ্যই বেতন তুলতে পারবেন।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হতো। বেতনের টাকা তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এ ভোগান্তি কমাতে ইএফটিতে বেতন-ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের তিন লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করে মাউশি। এরপর গত ১ জানুয়ারি ইএফটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। প্রথম ধাপে এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষককে বেতন দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার শিক্ষকের বেতন পাওয়ার কথা ছিল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। তবে সার্ভার জটিলতাসহ নানা কারণে তা করতে পারেনি সরকার। এতে নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শিক্ষকরা।