০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার, ০৭:৫৪:৫১ অপরাহ্ন
আলবেনিয়া থেকে ইতালিতে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিসহ ৪৯ অভিবাসীকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০২-২০২৫
আলবেনিয়া থেকে ইতালিতে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিসহ ৪৯ অভিবাসীকে

আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে উদ্ধার করা বাংলাদেশিসহ ৪৯ অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠানোর তিনদিন পর ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে রোম আদালতের আপিল বিভাগ। আশ্রয়ের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আলবেনিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের।


শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আদালতের বিচারকরা অভিবাসীদের মুক্তির নির্দেশ দেন এবং শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের ইতালিতে ফিরিয়ে আনার পক্ষে রায় দেন।


লা রিপাবলিকা জানিয়েছে, আলবেনিয়া থেকে ফিরিয়ে আনাদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিসর, আইভরি কোস্ট এবং গাম্বিয়ার নাগরিকরা রয়েছেন।


ইতালিতে আশ্রয় চাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আলবেনিয়ার বিশেষ কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্যোগ গত অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি চুক্তির আওতায় আলবেনিয়াতে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের আটক রাখতে অনুমোদন দেয়নি ইতালির আদালত।


আশ্রয়প্রার্থীদের জন্মভূমি তাদের জন্য নিরাপদ না হওয়ায় আলবেনিয়ার কেন্দ্র থেকে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছিলেন। সেই মামলা শেষ পর্যন্ত ইউরোপের বিচার আদালতে গড়িয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।


ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি অবশ্য আলবেনিয়ার কেন্দ্র দু’টি আদালতের আপত্তি সত্ত্বেও চালু রাখতে বদ্ধপরিকর। তার এই অবস্থানকে কিছুটা সমর্থন দিয়েছে রোমের সর্বোচ্চ আদালতও।


আদালত বলেছেন, ইতালির বিচারকরা কোন দেশ আশ্রয় বাতিল হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিরাপদ এবং কোন দেশ নিরাপদ নয়, তা নির্ধারণের সরকারি নীতির বিকল্প হতে পারবে না। তবে সুনির্দিষ্ট ঘটনার ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।


২০২৩ সালের নভেম্বরে ইতালি ও আলবেনিয়ার মধ্যে করা চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে তিন হাজারের মতো আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাদেরকে আলবেনিয়ায় পাঠাতে পারবে ইতালি। যাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে তারা ইতালিতে আশ্রয় দেওয়া হবে। যাদের আবেদন বাতিল হবে তাদেরকে আলবেনিয়া থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের অঞ্চলটির বাইরের একটি দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগকে আরো কিছু দেশ সমর্থন জানিয়েছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা এই উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেছেন, এটা এক ভয়াবহ নজির তৈরি করেছে।


শেয়ার করুন