২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১২:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
ভোটাররা চেনেন না প্রার্থীদের
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১২-২০২৩
ভোটাররা চেনেন না প্রার্থীদের

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের অধিকাংশেরই স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিতি নেই। সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে এবার ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দিয়েছেন ৮ জন। তবে এদের মধ্যে দুই-তিনজন ছাড়া বাকিদের স্থানীয় ভোটাররাই চেনেন না। তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন ফরম পর্যন্ত কেনেননি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত যুবলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেননি। তাই এ আসনের নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।


সিলেট জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত একজন, মনোনয়নবঞ্চিত একজন, জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিত। বাকি ৫ প্রার্থী কখনো রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন না।


সিলেট-৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৮ জন হলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ-সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ময়নুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কফিল আহমদ চৌধুরী ও ফকরুল ইসলাম।


এদের মধ্যে ২০২১ সালের উপনির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিব জয়ী হয়েছিলেন। রাজনীতিতে তার পরিচিতি রয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক একাধিকবার এ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তারও পরিচিতি রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব। গেল উপনির্বাচনে ও এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তবে বাকি পাঁচজন রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারেই অপরিচিত। তারা প্রত্যেকে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচন করছেন।


এদিকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন জমা দেননি। অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সিলেট-৩ আসনে ঘোষণা করা হয়েছিল আমিনুল ইসলাম ডেনীর নাম। কিন্তু তিনি মনোনয়ন ফরম পর্যন্ত কেনেননি। তৃণমূল বিএনপি নাম ঘোষণা করলে ড্যানিকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।


এ ছাড়াও নির্বাচনে হাবিব-দুলাল-আতিকের মধ্যে ভোটের ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। কয়েক ভোটার বলেন, বর্তমান এমপি হাবিব ও দুলাল একই দলের মানুষ। জাতীয় পার্টির আতিক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তাই তাদের তিনজনের মধ্যেই ভোটের লড়াই হবে।


স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করার আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। সাধারণ ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি আশাবাদী।


তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ডেনীর ঘনিষ্ঠজনরা জানান, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। আগের দিন বুধবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তৃণমূল বিএনপি থেকে। কিন্তু প্রস্তুতি ছিল না প্রার্থী হওয়ার। অল্প সময়ে নির্বাচনের কোনো কাগজপত্র প্রস্তুত করা যায়নি।


শেয়ার করুন