০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার, ০৮:৪৫:৩১ অপরাহ্ন
নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক দল-যুবদল সংঘর্ষ, আহত ১৫
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০২-২০২৫
নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক দল-যুবদল সংঘর্ষ, আহত ১৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। 


রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান ও তার বাবা মো. জিন্নাহ, নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মো. রুবেল, নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সুজন, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আজগর আলী, ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল, শুভ ও জুয়েল রানা। অপর পক্ষের আহতরা হলেন, ছাত্রদল নেতা হৃদয়, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মো. সানা উল্লাহ, বিএনপি নেতা নাসিম, ডা. মো. সাইদুল ইসলাম ও মো.সাইফুল ইসলাম। এদের মধ্যে হৃদয়, রুবেল ও জিন্নাহকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।    

 

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান স্থানীয় কয়েন বাজারে দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য একটি দোকান ভাড়া নেন। সেখানে বাধা সৃষ্টি করে নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। বাধা দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে রোববার বিকেলে কয়েন বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি-সোটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


শেয়ার করুন