নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা বিশ্ব ইজতেমায় কোন ডেভিল আসলে ধরিয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ২নং গেটের ভেতরে বিদেশি খিত্তার গেটে স্থাপিত জিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএমপি কমিশনার বলেন, কাল থেকে শুরু হচ্ছে সাদপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমা। আগের মতই নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা রয়েছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান।
ডেভিল হান্ট অভিযান চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো দুষ্কৃতকারী যদি ইজতেমায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, কোন ডেভিল যদি পান তাহলে ধরে দেবেন।
কমিশনার বলেন, সাদপন্থিদের এবারের ইজতেমায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৩৬ টি সিসি ক্যামেরা, সার্ভিল্যান্স টিম, রুফটফ, ৩৫ টি বাইনুকোলার, ২০ টি চেকপোস্ট ও ৩৫ টি মোবাইল টিম কাজ করছে। হকার উচ্ছেদের জন্য পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে।
ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ড্রোন সার্ভিল্যান্স কাজ করছে। কমিশনারের অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, উপপুলিশ কমিশনার ( অপরাধ দক্ষিণ) এ এনএম নাসিরুদ্দিনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইজতেমার আয়োজক সাদপন্থিদের পক্ষে শীর্ষ মুরুব্বী ড. রেজাউল করিম, রেজা আরিফ, সফিকুর রহমান, হাজী মনির ও মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকদের পক্ষে শীর্ষ মুরুব্বী ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘সুন্দরভাবে ইজতেমা করতে দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত কোন শর্ত নিয়ে ভাবছি না। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ী নেজামের (জুবায়েরপন্থি) ইজতেমা সম্পন্ন হয়। এখন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রাথমিকভাবে ইজতেমা শুরু হবে। কাল বাদ ফজর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে সাদপন্থীদের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব তথা বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর।