২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
রাবিতে ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে ইনকোয়ারি কমিটি গঠন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০২-২০২৫
রাবিতে ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে ইনকোয়ারি কমিটি গঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঘটনায় সম্প্রতি গঠিত পাঁচটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পরিপ্রেক্ষিতে চারটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে ইনকোয়ারি কমিটি গঠন, সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে ৫ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো পৃথক তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে। এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে ইনকোয়ারি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।


অন্য আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের মাস্টার্সের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।


জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো আরও আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার কূটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন তা প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুল হক, ড. আলী আকবর ও ড. আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী ৫ বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সিন্ডিকেট সভা তার প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।


শেয়ার করুন