২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার, ০১:২৯:৪৪ অপরাহ্ন
যে ৮ কারণে গুড় খাবেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০২-২০২৫
যে ৮ কারণে গুড় খাবেন

শীতকালে গুড়ের কদর বাড়ে। গুড়ের চা, গুড় দিয়ে বানানো পিঠা, পাতলা গুড, পাটালি গুড় মুড়ির সঙ্গে কামড়ে খাওয়া—সবই আপনাকে নস্টালজিক করে তুলতে পারে। তবে এই গুড় খেলে বেশ কিছু উপকারও পেতে পারেন। যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি গুড় খেলে রক্ত স্বল্পতাও প্রতিরোধ করা যায়।


খাওয়ার পরে প্রতিদিন প্রায় ১০ গ্রাম গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতি ১০ গ্রাম গুড়ে ১৬ মিলিগ্রাম খনিজ থাকে। এছাড়া দুধে বা ঘিয়ে মিশিয়ে কিংবা চায়ের সঙ্গে চিনির বদলে মিশিয়েও পান করতে পারেন।


রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে: রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধের জন্য শরীরে আয়রন ও ফোলেটের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে আরবিসি’র মাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। গুড়ে আয়রন ও ফোলেট দুটোই মেলে। তাই নিয়মিত গুর খেলে রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ হয় দ্রুত।


শরীর পরিষ্কার করে: খাবার খাওয়ার পর গুড় খেলে অন্ত্র, পাকস্থলী, খাদ্যনালি, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র থেকে সব ধরনের অবাঞ্ছিত কণা সফলভাবে অপসারণ হৈয়। গুড় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় যা পরবর্তীতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়। সুষম সোডিয়াম-পটাসিয়াম অনুপাত অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এইভাবে রক্তকে বিশুদ্ধ রাখে।


লিভার পরিষ্কার রাখে: গুড়ে প্রাকৃতিক ক্লিনজিং বৈশিষ্ট্য আছে, বিশেষ করে লিভারের জন্য। প্রাকৃতিক এই মিষ্টি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে ভালোভাবে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। তাই যারা লিভার সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন তাদের গুড় খাওয়া শুরু করা উচিত এখন থেকেই।


কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে: অন্ত্রের গতিবিধিকে উদ্দীপিত করতে ও শরীরে হজমকারী এনজাইমগুলোর সক্রিয়করণে সহায়তা করে গুড়। ভারি খাবার খাওয়ার পর গুড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমে যায়। খাওয়ার ঠিক পরেই সামান্য ঘি দিয়ে গুড় খেলে মলত্যাগের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর কাজ করবে। গুড় ও ঘি চর্বির আয়রন উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে।


জয়েন্টের ব্যথা কমায়: আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য দারুন উপকারী গুড়। এটি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভালো উৎস। এই দুটি পুষ্টি উপাদান একত্রিত হলে জয়েন্ট বা হাড়ের যে কোনো সমস্যা দূর করতে একসঙ্গে কাজ করে। এর সঙ্গে আদা মেশালে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।


ত্বক ভালো রাখে: গুড় রক্তকে শুদ্ধ করে ও হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়ায়। ফলে ব্রণ বা ব্রণের সমস্যার সমাধান হয় ও ত্বককে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। গুড়ে থাকা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করে ও ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য গুড়ের উপকারিতা আরও মজবুত হয় যখন এর সঙ্গে তিলের বীজ খাওয়া হয়।


মূত্রনালির সমস্যায়: আখ একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক, তাই গুড়ও এই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। মূত্রাশয়ের প্রদাহ কমানো, প্রস্রাবকে উদ্দীপিত করা ও প্রস্রাবের মসৃণ প্রবাহ উন্নত করতে নিয়মিত খেতে পারেন গুড়।


অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: গুড় ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। প্রতি ১০-১৬ গ্রাম খনিজ থাকে। যদি কেউ ১০ গ্রাম গুড়ও গ্রহণ করেন, তবে খনিজের দৈনিক চাহিদার ৪ শতাংশ পূরণ হবে। প্রতিদিন গুড় খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


শেয়ার করুন