২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৭:০৪ অপরাহ্ন
তথ্য ফাঁস ঠেকাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত ইসির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০২-২০২৫
তথ্য ফাঁস ঠেকাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত ইসির

তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস বন্ধ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই সেবা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সার্ভার থেকে আর কোনো নাগরিকের তথ্য সরাসরি সরবরাহ করবে না কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘যখন তারা (সংস্থাগুলো) তথ্য দেবে, তখন আমরা তাদের বলব যে, এটি 'মিল আছে' বা 'মেলেনি' এক কথায়, 'হ্যাঁ' বা 'না'। এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা পেতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।’


সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এনআইডি মহাপরিচালক তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, বর্তমানে মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠান ইসির ডাটা সার্ভার থেকে এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা গ্রহণ করছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাইয়ের জন্য তাদের কাছে থেকে কিছু তথ্য পেতে পারে।


হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যেহেতু আমরা এনআইডির তথ্য ফাঁসের কিছু প্রমাণ পেয়েছি, তাই আমরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।’ তথ্য ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন ও এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে মতবিনিময় সভার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অধিদপ্তর বলেছে, 'তথ্য ফাঁসের প্রেক্ষাপটে মূল্যবান (এনআইডি) তথ্য আরও ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখতে আমরা ৬৪টি ব্যাংক, সরকারি সংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাদাভাবে মতবিনিময় সভায় বসেছিলাম।’ তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে এনআইডির তথ্য সুরক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি টিমও গঠন করা হবে। তবে তিনি বলেন, এখন প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি দেখতে পারবে।


আজ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে হুমায়ুন কবির বলেন, বৈঠকে এনআইডি সেবাপ্রার্থীদের ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে তারা বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির ঘোষণা দিয়েছিল। তাই এই কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠকটি হয়।


তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রায় ৫০ শতাংশ ঝুলন্ত আবেদনের নিষ্পত্তি ইতোমধ্যে করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাজে নিজের সন্তুষ্টির কথাও জানান এনআইডি মহাপরিচালক।


শেয়ার করুন