মোহনপুর থানা পুলিশ গত ২৫/০২/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১৩:১৫ ঘটিকায় মোহনপুর থানাধীন বড়াইল গ্রামস্থ মৃত সুলতান ডাক্তারের তেতুলতলা পুকুর হতে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিম আব্দুল মালেক (৪২) এর স্ত্রী মোসাঃ কাজলের সহায়তায় লাশের পোশাক-পরিচ্ছেদের বর্ণনা মোতাবেক পুলিশ সনাক্ত করতে সমর্থ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোসাঃ কাজল বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা নং-১৭, তারিখ-২৬/০২/২০২৫ খ্রি., ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ দায়ের করেন।
জনাব ফারজানা ইসলাম, পুলিশ সুপার, রাজশাহীর নির্দেশনায় এবং জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্)-এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মোহনপুর থানার চৌকস টিম ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও আসামিদের গ্রেফতারের কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮/০২/২০২৫ তারিখ দিবাগত রাতে মোহানপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার যৌথ প্রচেষ্টায় রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্থান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৪ (চার) জন আসামি ১। মোঃ হাবিবুর রহমান আরিফ (২৬), পিতা-মোঃ লায়েক আলী, সাং-তিলাহারী পূর্বপাড়া ২। মোঃ শয়ন ইসলাম (২৮), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-পশ্চিমপাড়া, উভয় থানা-মোহনপুর, জেলা-রাজশাহী ৩। শ্রী দেবর্শিষ সাহা (২২), পিতা-শ্রী দিপক সাহা, সাং-বুলনপুর ঘোষপাড়া, থানা-রাজপাড়া, মহানগর রাজশাহী ও ৪। মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩০), পিতা-সাম মোহাম্মদ সাম, সাং-আলীনগর বুধপাড়া, থানা ও জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ’কে গ্রেফতার ও লুন্ঠিত অটোরিক্সা, মোবাইল ও অটোরিক্সা বিক্রির ২৫,০০০/-হাজার টাকা উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ভিকটিমকে খুন করে তারা অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।
এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।