১০ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ০৫:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
বিদায়বেলায় কেঁদে ফেললেন ট্রুডো
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৩-২০২৫
বিদায়বেলায় কেঁদে ফেললেন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জাস্টিন ট্রুডোর সময় ফুরিয়ে এসেছে। রোববার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নতুন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আরেক নেতা।


প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা বিদায়ি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বৃহস্পতিবার তার বিদায়ি ভাষণের একপর্যায়ে কেঁদে ফেললেন ক্যামেরার সামনেই।


বিদায়বেলার আবেগঘন ভাষণে তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমি ‘কানাডা আগে’ রাখি; যাতে আমার পেছনে মানুষের সমর্থন থাকে। এই কারণেই আমি এখানে আপনাদের সবাইকে বলতে এসেছি যে আমরা আপনাদের পেয়েছি। এই সরকারের শেষ দিনগুলোতেও, আমরা আজ এবং ভবিষ্যতে কানাডিয়ানদের হতাশ করব না।


শুক্রবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ এবং জনপ্রিয়তার ধস নামার কারণে জানুয়ারিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। বলেন, উত্তরসূরি দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কানাডার ওপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি আসছে। কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে তা স্থগিত রাখা হয়।


ট্রুডো সেসব কথা বলতে গিয়ে জানান, সব সময় তিনি কানাডার স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কানাডাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন নিজের সব সিদ্ধান্তে। কানাডার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজের ১০ বছরের সময়কালের স্মৃতিচারণা করছিলেন ট্রুডো।


তিনি বলেন, ‘আমি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যতদিন ছিলাম, ব্যক্তিগত স্তরে সব সময় দেশের, দেশের মানুষের ভালো চেয়েছি। এই শেষ সময়েও আমি বলতে চাই, কানাডিয়ানদের আশাহত করব না।’


কথা বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ট্রুডো। তার চোখ ছলছল করে ওঠে। পাশাপাশি কানাডার পণ্যের উপর ট্রাম্প যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা আচমকা স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেন ট্রুডো।


প্রসঙ্গত, লিবারেল পার্টি রোববার তাদের পরবর্তী নেতার নাম ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।  পাশাপাশি ট্রাম্পের সঙ্গে ভেঙে পড়া সম্পর্ক মেরামতে কাজ করবেন। ক্ষমতায় এসেই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।  কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বদলে ‘গভর্নর’ বলেছিলেন ট্রুডোকে।


শেয়ার করুন