১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ১২:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
গাজায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৩-২০২৫
গাজায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  


হামলার শুরুতে আল জাজিরা নিহতের সংখ্যা ৩০ জন বলে জানায়। পরবর্তীতে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাতে নিহত ১০০ জনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করে আল জাজিরা। তবে এক ঘণ্টা পরেই হামাস জানায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। 


এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অনেক। 


এদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় হামলা চালানোর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গাজায় হামলায় হামাসের অনেক সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছে।  


ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, হামাস সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গাজার তিনটি বাড়িতে হামলা শিকার হয়েছে। এ ছাড়া রাফাহ এবং খান ইউনিসেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। 


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ মঙ্গলবার সকালে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।  


নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন তিনি। 


মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ নেওয়ার একদিন আগে ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য শেষমেশ হামাস ও ইসরায়েলের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এরপরেই গাজায় অতর্কিত হামলা আবার শুরু করলো ইসরায়েল।  


এর আগে গত ১৫ মাসের যুদ্ধে গাজায় নিহত হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে লক্ষাধিক। এ ছাড়া ঘরছাড়া হয় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। 


শেয়ার করুন