৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ০৯:২৫:৩০ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে জুয়া-মাদকের বিরোধিতায় জামায়াত নেতার বাড়িতে হামলা
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৩-২০২৫
রাজশাহীতে জুয়া-মাদকের বিরোধিতায় জামায়াত নেতার বাড়িতে হামলা

রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন নতুন বুধপাড়া এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ১০ মার্চ রাতে জুয়া ও মাদকের বিরোধীতা করায় এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মতিহার থানায় একটি চন্দ্রিমা থানায়। নিহত বা গুরুতর আহত না হলেও, হামলায় আহতদের মধ্যে একটি নারী যিনি হাসপাতালে ১৩টি সেলাই গ্রহণ করেছেন।

মো. রোকসানা খাতুন (২৫), যিনি অভিযোগকারী, তার ভাষ্য অনুযায়ী, গভীর রাতে বাড়ির গেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এরপর অভিযুক্তরা রামদা, পাইপ এবং হকিষ্টিক দিয়ে গেট ভেঙে পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। রোকসানা জানায়, তাদের রক্ষা করতে গেলে তার স্তন কেটে গুরুতর আহত হন। এছাড়া, হামলাকারীরা বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

এ বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে যে, ৩০ নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আইনাল, সুরুজ ও ফারুক এর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা সহ ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল হামলা চালায়। তাদের হাতে ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র এবং ককটেল। এরা ২৬ নং ওয়ার্ডের জামায়াতের কর্মীদের বাড়িতে হামলা করে এবং বিভিন্ন ধরণের শারীরিক নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনায় ২৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামির সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন বলেন, মেহেরচন্ডি এলাকার ৩০ নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আইনাল, সুরুজ ও ফারুক এর নেতৃত্বে এলাকায় জুয়া আর মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। যুবসমাজকে ধংসের পথ থেকে বাচাতে এবং তাদের অসামাজিক কর্মকান্ডর বিরোধীতা করায় আমাদের ওপর সস্ত্র এবং হিংস্র হামলা চালায। এসময় তারা মুখোশ পরিহিত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা চালায় । তাকে না পেয়ে তার চাচাতো ভাই তানভির এবং চাচাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের বাড়িতে অবস্থানরত মহিলাদের শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, যা আইন অনুযায়ী একটি গুরুতর অপরাধ।

এমন নৃশংস হামলা ও অপরাধের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুততম সময়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এমন ঘটনায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি, সাধারণ জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সকলকে একত্রিত হতে হবে।

এ ব্যাপারে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। দুট মতিহার থানায় ও একটি চন্দ্রিমা থানায়। এখন পর্যন্ত কেও গ্রেফতার না হলেও আসামি গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন