গাজা ও রাফায় ইসরাইলি নৃশংস গণহত্যাসহ বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা কুশপুত্তলিকা বানিয়ে আগুন দেয়।
এর আগে চকবাজার জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উত্তর তেমুহনী এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট নজির আহমেদ, নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন প্রমুখ।
জামায়াত নেতা নজির আহমেদ বলেন, ইসরাইল আমেরিকার অবৈধ সন্তান। আমরা মুসলমানরা আল্লাহর সৈনিক। দুনিয়ার সমস্ত মুসলিম আমরা একই পরিবারের সদস্য। ইহুদি, খ্রিস্টান এবং বিধর্মী মূর্তি পূজারি এক হয়েছে ইসলামকে উৎখাত করতে। তারা মুসলমানকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কখনো কুরআনকে, ইসলামকে ও মুসলমানকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। কেয়ামত পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। ইহুদি জাতি, আমেরিকা ও মূর্তি পূজারিরা অভিশপ্ত।
জামায়াতের নেতা ফারুক হোসাইন নুরনবী বলেন, গাজা ও রাফাতে ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। মুসলিম বিশ্বকে এক হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। তাদের পণ্য বয়কট করতে হবে। গাজাবাসীকে রক্ষায় বিশ্ব মুসলিমকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিকে সকালে একই দাবিতে উত্তর তেমুহনীতে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ও দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।