২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিশু শর্মিলা ধর্ষণ-হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৭-২০২২
শিশু শর্মিলা ধর্ষণ-হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

যশোরের চৌগাছায় চাঞ্চল্যকর শিশু শর্মিলা ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তজিবর রহমান (৫০) যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিলধলা রামকৃষ্ণপুর এলাকার দবির উদ্দিন দরবার আলীর ছেলে।

ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শর্মিলা খাতুন (৯) চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে। হাকিমপুর নূরানি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুন সন্ধ্যায় চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে শর্মিলা খাতুন প্রতিবেশী তৈমুর হোসেন খানের আমবাগানে আম কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পার হয়ে রাতেও মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন। ২৬ জুন সন্ধ্যায় তারা জানতে পারেন যে, পাশেই হামিকপুর গ্রামের জামান মৃধার আমবাগানে একটি পচাগলা লাশ পড়ে আছে।

সংবাদ পেয়ে তারা লাশ দেখতে পান। পরবর্তীতে হাসপাতালে শর্মিলা খাতুনের পরিহিত লাল ঘটি হাফপ্যান্ট, হাত এবং পায়ের পাতা দেখে লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় আটক আসামি তজিবর রহমান বাদীর সামনে পুলিশের কাছে স্বীকার করে- ধর্ষণের সময় গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরলে শর্মিলা খাতুন মারা যায়। হত্যার পর মৃতদেহ মেহগনি গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরবর্তীতে হাফিজুর রহমান কালু বাদী হয়ে ২৭ জুন চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে আসামি তজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ওই বছরই ৬ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি তজিবর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।

শেয়ার করুন