০৫ মে ২০২৫, সোমবার, ০৫:৪৭:৫১ অপরাহ্ন
ঢাবির সাবেক ভিসি আখতারুজ্জামানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রাশেদের মামলা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৫-২০২৫
ঢাবির সাবেক ভিসি আখতারুজ্জামানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রাশেদের মামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাত বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।


রোববার (৪ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক এবং অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে। মামলায় আরও আছেন তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা কলেজ শাখার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাকিব হাসান সুইম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান, ডিইউ শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও পরে উপাচার্য হওয়া ড. মাকসুদ কামাল এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুস সামাদ। মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে বিবাদী করা হয়েছে।


রাশেদ খান বলেন, ‘২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন। ৯ এপ্রিল রাত ১টার দিকে ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ’ লেখা গেঞ্জি পরা কিছু যুবক উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভেঙে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়।’


তিনি জানান, ‘আমি ১ জুলাই শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে এবং ৮ জুলাই বাসভবন ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হই। ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। আমি কোনো অন্যায় করিনি, তবু দুইটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জেল ও রিমান্ড খাটতে হয়। তাই এখন আমি এই মামলা করেছি। আওয়ামী লীগ আমলে মামলা দিতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। এবার এই মামলাটি দায়ের করেছি যাতে বোঝা যায় সেদিন কে আগুন দিয়েছিল।’


রাশেদ খান আরও বলেন, ‘তৎকালীন সময়ের ছাত্রলীগ নেতা আল নাহিয়ান খান জয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। এছাড়া জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এনামুল হক শামীম ঢাবির শিক্ষার্থী না হয়েও ক্যাম্পাসে এসে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।’


তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে আমরা ১১টি পদে জয়ী হয়েছিলাম বলে শুনেছি। কিন্তু নাম ঘোষণা করা হয়নি। বর্তমানে আমরা তদন্ত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।’


এই মামলার মাধ্যমে বহু আলোচিত ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়কার ঘটনার নতুন করে বিচার ও তদন্তের দাবি জোরালো হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


শেয়ার করুন